কার্পাসডাঙ্গায় বিভিন্ন গ্রামে জেলা আ:লীগের সাধারন সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আজাদুল আজাদের মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীদের গনজোয়ার : দ্বিধাদ্বন্দ ভুলে সকলকে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান

মেহেদী হাসান মিলন:চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের ২ বারের সাধারন সম্পাদক দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান গনমানুষের নেতা ক্লিন ইমেজ খ্যাত রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব বীরমুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ গতকাল রোববার বিকালে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আ:লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সহ সাধারন জনগনের সাথে মতবিনিময় ব্যাপক মতবিনময় করেন।প্রতিটি চায়ের দোকানে দোকানে মোড়ে মোড়ে জনগনের সামনে বর্তমান আ:লীগ সরকারের নানা সাফল্য তুলে ধরেন ।বীরমুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের প্রতিটি গ্রামে মতবিনিময় সভায় নেতাকর্মীদের গনজোয়ারের সৃষ্টি হয়।প্রানের নেতার ডাকে সবাই যেন ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে।প্রতিটি নেতা কর্মীরা স্থথফূর্ত ভাবে বেরিয়ে পড়ে নেতার ডাকে।অনেকে এসময় মন্তব্য করে বলেন অনেক নেতাই মাঠে টাকা ছড়িয়ে কিছু যা করতে না পেরেছে শুধু আজাদুল ইসলাম আজাদের ডাকে তার চাইতে শতগুন নেতাকর্মী বিনাস্বার্থে মাঠে নেমে পড়েছে।নির্বাচনী মাঠে আজাদ মিয়ার মতই নেতাই দরকার বলেও উপস্থিত অনেকে মন্তব্য করেন।এ সময় বীরমুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ বর্তমান আ:লীগ সরকারের নানা সাফল্য তুলে ধরে বলেন এখন এলাকার প্রতিটি রাস্তাঘাট পাকা। স্কুল, কলেজ,মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দির প্রতিটি জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া।আ:লীগ সরকারের শাসনামলে আপনারা নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমাতে পারছেন।এখন আর ঘর করতে জমি কিনতে কাউকে চাঁদা দিতে হয়না।এখন নিশ্চিন্ত মনে ব্যাবসা করা যায়।আজকে ইটভাটা মালিকরা নিশ্চিতে ভাটার ব্যাবসা করছে,বিলের মালিকরা আরামে মাছ চাষ করছে যার সবই সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে।এখন দশ টাকায় চাল পাওয়া যায়।সরকার যাঁদের জমি আছে ঘর নাই তাঁদের ঘর করে দিচ্ছেন।অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছেন।স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। আর তেল সারের জন্য কৃষককে গুলি খেতে হয়না।তেল সার মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গেছে।এখন আর সন্তানদের বই কেনার জন্য অভিভাবকদের চিন্তা করতে হয়না।সরকার বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে।গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ সেবা আজ মানুষের দোড়গোড়ায়।রাস্তা,ঘাট,কালভার্ট,ব্রীজ সহ সকল ক্ষেত্রে আজ আ:লীগ সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া।আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সাধারন নির্বাচন নই।চেয়ারম্যান নির্বাচন নই।জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষে সকলকে সব দ্বিধা দ্বন্দ ভুলে কাজ করতে হবে। নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে আবারো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী করতে হবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে।আপনারা বিগত জামায়াত বিএনপির দু:শাসনের সরকার দেখেছেন। তাদের ভোটের মাধ্যমে বয়কট করে বাংলাদেশ আ:লীগ সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন। আপনারা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছেন দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। প্রতিটি স্থরে আজ উন্নয়নের ছোঁয়া।বাংলাদেশের উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ আ:লীগ সরকারের কোন বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।এলাকাবাসী সহ আ:লীগের নেতাকর্মীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদকে কাছে পেয়ে আবারো প্রানশক্তি ফিরে পেয়েছেন বলে ব্যাক্ত করেন।ক্লিন ইমেজ খ্যাত নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদের আহবানে সাড়া দিয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যাক্ত করে চায়ের দোকান সহ সর্বত্র সরকারের সাফল্য তুলে ধরেন। এসময়ে উপস্থিত নেতা কর্মীরা স্লোগান তুলে বলেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনার মত যোগ্য ত্যাগী নেতাকে নৌকার কান্ডারী হিসাবে দেখতে চাই।এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের শান্ত থেকে বলেন আমার নৌকার কর্মী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন আমরা তার পক্ষেই ঝাঁপিয়ে পড়বো।